দেবযানী বসু
দেবযানী বসুর কবিতা
দেবযানী বসু
১. ডিজিটাল অ্যামিবার দেশে
আর আসিব না ফিরে এই বাংলায়। ডুবে গেছি মৃত ধানশ্রী নদীর রক্তে। নির্মমতাময়ী এক রক্তাক্ত হাত শহর গ্রামের আকাশে ওড়ে। লালকমল নীলকমলের চোখকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। নরক থেকে ভাড়া নিয়েছে সে লেডি ম্যাকবেথের হাত। সংলাপ তাঁর শুধু পচা মাংসখন্ডের। ছুঁড়ে ছুঁড়ে মাংসখন্ড বাংলাকে হাজার একান্নপীঠ করেছে। এ নরকপীঠে বাস আমাদের। কোন লোকে দান্তে ভালো জানেন। নরকের বিলাপধ্বনি নারীদের ফুসফুসে ঘড়ঘড় করে। পুজোর চালচিত্রে পালে পালে শকুন উড়বে এবার। মাইক্রোস্কোপ হাতে কোটি কোটি অ্যামিবা জেগে উঠেছে দোষী খুনী ধরবে মা ও মেয়েদের নামে। অ্যামিবাদের সমবেত গানের মাঝেই ধর্ষণ ঘটে যায় দেশ জুড়ে। সুরেলা প্রতিবাদ থেকেই পচা বিষ্ঠার গন্ধ উঠে আসার সময় হয়ে এল। জয় অ্যামিবাদের জয়।
২. মৌমাছির সাধারণতন্ত্র
মক্ষীরানীর বদলে মৌচাকে বসে আছে পুলিশরানী। মৌচাকটিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে সাগরমন্থনে। ছিল মৌচাক হয়ে গেল হাসপাতাল। আমৌমাছি সাধারণতন্ত্র আমাদের। নায়াগ্রা শ্লোগানে মৌচাক ভাসছে। শ্মশ্রুগুম্ফময় দেহলিদেবতার সেটিংঝাঁপিতে আটকে গেল মৌচাক। পাব্লিকাসুর বধে সূর্যসিংহাসন অবধারিত কপালে। হাসপাতালীয় 'ম্যাঁয় হুঁ ডন' এর সঙ্গে যুজঝে মৌমাছিরা। মৌমাছিদের গুঞ্জন করার সময় নেই এখন মৌমাছিগর্জন। একসময়ের চুপ করে থাকা জীবদের সব অপরাধ ক্ষমা করে বাতাসে মিশেছে মেয়ে আমাদের। তবুও অর্ধেক মৌমাছি মড়াখেকো এখনো। আদালতের শিবাচত্বরে ঘুরে বেড়ায়। সেই কবে গর্জন সত্তর ছিল ভুলে গেছি। গর্জনচব্বিশ হোক আরেকবার।

পাঠকের মতামতঃ